Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সুবলং শাখা বনবিহার
স্থান

জুরাছড়ি উপজেলা সুবলং শাখা বনবিহারটি বিহার পাড়া নামক স্থানে অবস্থিত। এটি উপজেলা সদর থেকে ১.০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

সদর উপজেলা থেকে আটো রিক্সা এবং নৌযানের যানের মাধ্যমে উক্ত স্থানে যাওয়া যায়।এখানে বিভিন্ন পর্যটক শীত কালীন সমযে ভীড় জমায়।

যোগাযোগ

জনাব সুকোমল চাকমা

মোবাইল: +৮৮০১৫৫৭৪৪৫৭১৩

বিস্তারিত

প্রতিষ্ঠা পূর্ব সময়:

কালের আবর্তে ১৯৮৯সালের শেষের দিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারনে পুরো জুরাছড়ি (শলক) এলাকার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে সদরে কিংবা বিভিন্ন এলাকায় বস্তির গুচ্ছগ্রামে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়ে পরে। এমতাবস্থায় লৌকিক সাধারণ মানুষের আর্থ সামাজিক আস্থা,নৈতিক অবক্ষয় ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির উপক্রম হয়।

সুবলং শাখা বনবিহার প্রতিষ্ঠা:

১৯৯০ সালে প্রথম দিকে বাবু প্রচারক চাকমা, বাবু জয়ন্তর চাকমা,বাবু কল্যাণ জ্যোতি চাকমা এলাকার সুখ শান্তি ফিরিয়ে আনতে তারা শ্রদ্ধেয় বনভান্তের কাছে এলাকার অবস্থার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করবেন বলে মনস্থ করলেন।পরে বাবু ধল কুমার চাকমা (বর্তমান সুবলং শাখা বন বিহার সভাপতি) সহ কিছু সংখ্যক নেতৃস্থানীয় বিশিষ্ট দায়ক/দায়িকা জুরাছড়ি (শলক) এলাকার দু:খদুর্দশা পাপের কালিমা মোচন করতে মহামানব শ্রদ্ধেয় বনভান্তের আনায়নের জোর প্রচেষ্টা চালান।মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল হোক সবার এই চিন্তা মাথায় রেখে তখনকার প্রায় দু‌‌দশক ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতা অর্থনৈতিক দারিদ্রতা সত্ত্বেও এলাকার পূণ্যকামী সাধারণ দায়ক/দায়িকা রাজবন বিহারে গিয়ে শ্রদ্ধেয় বনভান্তের প্রমূখ ভিক্ষুসংঘের সান্নিধ্য লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। ক্রমশ: দান করা হয় একটি শ্রমন শালা ও একটি আবাসিক ভিক্ষুর পাকা ভাবনা কুঠির।

শ্রদ্ধেয় বনভান্তের আগমন:

১৯৮৩সালে কোন এক শুভদিনেই তার প্রথম শলক বা জুরাছড়িতে শুভ পদার্পন। জুরাছড়ি সর্বস্তরের সদ্ধর্মপ্রাণ দায়ক/দায়িকাগণের আমন্ত্রণে এ মহামনবের পবিত্র পাদস্পর্শে এই শলক এলাকাবাসী আজ ধন্য হয়েছেন।

সুবলং শাখা বনবিহার অনুমোদন:

পরে তিনি যখন একাধিকবার জুরাছড়িতে আসতে শুরু করেন, তখন তিনি একসময় জুরাছড়িতে শাখা বনবিহার প্রতিষ্ঠা করার দায়ক দায়িকাদেরকে তাগিদ দেন। তিনি শাখা বনবিহার প্রতিষ্ঠা ইঙ্গিত প্রদান করলে তখন কার সকাশে প্রার্থনা করা হয়। যথাযোগ্য মর্যদায় সদ্ধর্ম অপরিহানীমূলক আগত অনাগত ভিক্ষুসংঘেকে চর্তুপ্রত্যয়ে পরিবেশনসহ ভক্তিশ্রদ্ধা অভিবৃদ্ধি বৌদ্ধতীর্থ হিসেবে স্থায়ীভাবে সুরক্ষা ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে গৌরব রক্ষা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাধ্যমে রেজিষ্টার বিশিষ্ট দায়ক/দায়িকাগণের স্বক্ষর প্রদানের সাপেক্ষে তিনি (শ্রদ্ধেয় বনভান্তে ) ১৯৯২ সালে বিহার প্রতিষ্ঠার সদয় সম্মতি পজ্ঞাপন করেন। তার নির্দেশনা অনুসারে পশ্চিমে সুবলং রংরাংহুল মোন (সুবলং বাজারের পশ্চিমে পাহাড়টি) হয়ে কর্ণফুলী নদীর ডানকুল,পূর্বে ঠেগা উত্তরে জুরাছড়ি উপজেলা সীমা দক্ষিন-পশ্চিমে রাইখং পর্যন্ত সীমা নির্ধারণ করে দেন।

বর্তমান অবস্থা:

বিহারে বর্মানে ৮জন ভিক্ষু ও প্রবজ্যাধারী শ্রমণ ৩৩জন রয়েছে। বিহার অধ্যক্ষ হিসেবে শ্রীমৎ বুদ্ধ শ্রী মহাস্থবীর অবস্থন করছেন।